সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের শোক ও সমবেদনা প্রকাশ
==================
খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ভাষাসৈনিক, কূটনীতিক লেখক ও বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের পরিবার। মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছে।
শনিবার (৩০ এপ্রিল) অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অন্তিম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদ প্রাঙ্গণে। উপস্থিত ছিলেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুব, সহ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মালেক ভূঁইয়া, সহ সভাপতি অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ঝর্না রহমান,প্রচার ও প্রকাশনা আরিফ সোহেল, লৌহজং কেন্দ্রের সভাপতি কবীর ভূঁইয়া কেনেডি, মুন্সিগঞ্জ কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ ও সদস্য শেখ ইরফানসহ প্রমুখ। তারা মরহুমের মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
এক শোকবার্তায় অগ্রসর অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডক্টর নুহ-উল-আলম লেনিন বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, যার নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে একজন খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, লেখকের চেহারা। তিনি স্বীয় কর্মগুণে নিজের জীবনকে করেছেন বর্ণিল ও সাফল্যমণ্ডিত। দেশের অর্থনীতিকে ঊর্ধ্বমুখী রাখার পেছনে যার অবদান অসামান্য। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। তার পারলৌকিক জীবনের শান্তি কামনা করি।
আবুল মাল আবদুল মুহিত শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিবার বাজেট ঘোষণা করেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাংলাদেশের উন্মেষ ও রূপান্তরের পুরোধা ব্যক্তিত্ব মুহিত সরকারি কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ পদ সচিব, মন্ত্রী, অর্থনীতিবিদ, কূটনীতিক, লেখক, গবেষক, পরিবেশবিদসহ নানা পরিচয়ে দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন। তার অবদান জাতি দীর্ঘকাল কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণে রাখবে। বহুমাত্রিক প্রতিভায় সমৃদ্ধ আবুল মাল আবদুল মুহিতের মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।